ঢাকা ১২:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাভারে শীতার্তদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ অসহায় – শীতার্তদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ গাইবান্ধায় সেনাবাহিনীর শীতবস্ত্র বিতরণ। বাংলাদেশ লেবার পার্টির ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী সমাবেশ। গাইবান্ধার সুন্দরগন্জে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক নারীর মৃত্যু! গাইবান্ধায় ৮২ বোতল ফেনসিডিলসহ দুই মহিলা আটক কথা নিয়ে যুদ্ধে জড়াতে চাইছেন না :বুবলি নিরাপদ ও বাসযোগ্য সাভার পৌরসভা গড়ার প্রত্যয় মেয়রপ্রার্থী খোরশেদ আলমের আমান উল্লাহ আমানের সাথে হাবিবুল ইসলাম হাবিব ও অধ্যাপক ডাক্তার শহিদুল আলমের সৌজন্য সাক্ষাৎ একুশে আগস্টের মিথ্যা মামলা থেকে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তারেক রহমানকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইব্রাহিম মিয়া বাহাদুর

আদালতের নির্দেশে কবর থেকে এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:২৭:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩ ১০৪ বার পড়া হয়েছে
sandhanitv অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাভার প্রতিনিধি :                                             সাভার পৌরসভা এলাকায় দাফনের ২২ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।
রোববার (০৮ অক্টোবর) সকালে সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রাসেল ইসলাম নূর এর উপস্থিততে পৌরসভার ঘাসমহলের আল বেদা বাইতুল নুর জামে মসজিদ কবরস্থান থেকে  মরদেহ উত্তোলন করা হয়৷
পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মৃত ব্যক্তি মো: জামাল (৫৩) সাভারের দক্ষিণ রাজাশন এলাকার মৃত ফরিদ গোলদারের ছেলে। তিনি তেল-মোবেল ও খামার ব্যবাসায়ী ছিলেন।
অভিযুক্তরা হলেন- ফোরকান হাকিম (৪৮), লোকমান হাকিম (৫১), গোফরান হাকিম (৪৫) ও কাঞ্চন শীয়ালি ওরফে দ্বীন মোহাম্মদ (৫৫)।
মামলার বাদী  নিহতের ছোটো ভাই ইমরান হোসেন গোলদার বলেন, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাত ১১ টায় আমাদের বাড়ির পাশেই ফোরকান হাকিমের বাসায় ফোনে ডেকে নিয়ে যায় আমার বড় ভাইকে। রাত ১২ টার দিকে আমার কাছে ফোন আসে আমার ভাই নাকি অসুস্থ হয়ে গেছে। পরে আমি সেখানে গিয়ে দেখি আমার ভাই অজ্ঞান হয়ে পরে আছে তার মাথায় আঘাত ও পায়ে আঘাত। এরই মধ্যে সেই বাড়ির লোকজন আমাকে বলে আমার ভাই স্টক করেছে। পরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা বলেন তিনি মারা গেছেন৷  সে সময় পরিস্থিতি না বুঝে শোকে মর্মাহত হয়ে আমার ভাইকে দাফন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এরপর থেকে ফোনকান হাকিমের বাড়ি তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। এতে আমাদের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। আমার ভাইকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে। আমরা ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে গিয়ে একটি মামলা করি। পরে আজ আদালত থেকে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য বলা হয়।
সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) আব্দুল্লাহ বিশ্বাস বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মহদোয়ের উপস্থিততে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আদালতের নির্দেশে কবর থেকে এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে

আপডেট সময় : ০৫:২৭:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩

সাভার প্রতিনিধি :                                             সাভার পৌরসভা এলাকায় দাফনের ২২ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।
রোববার (০৮ অক্টোবর) সকালে সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রাসেল ইসলাম নূর এর উপস্থিততে পৌরসভার ঘাসমহলের আল বেদা বাইতুল নুর জামে মসজিদ কবরস্থান থেকে  মরদেহ উত্তোলন করা হয়৷
পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মৃত ব্যক্তি মো: জামাল (৫৩) সাভারের দক্ষিণ রাজাশন এলাকার মৃত ফরিদ গোলদারের ছেলে। তিনি তেল-মোবেল ও খামার ব্যবাসায়ী ছিলেন।
অভিযুক্তরা হলেন- ফোরকান হাকিম (৪৮), লোকমান হাকিম (৫১), গোফরান হাকিম (৪৫) ও কাঞ্চন শীয়ালি ওরফে দ্বীন মোহাম্মদ (৫৫)।
মামলার বাদী  নিহতের ছোটো ভাই ইমরান হোসেন গোলদার বলেন, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাত ১১ টায় আমাদের বাড়ির পাশেই ফোরকান হাকিমের বাসায় ফোনে ডেকে নিয়ে যায় আমার বড় ভাইকে। রাত ১২ টার দিকে আমার কাছে ফোন আসে আমার ভাই নাকি অসুস্থ হয়ে গেছে। পরে আমি সেখানে গিয়ে দেখি আমার ভাই অজ্ঞান হয়ে পরে আছে তার মাথায় আঘাত ও পায়ে আঘাত। এরই মধ্যে সেই বাড়ির লোকজন আমাকে বলে আমার ভাই স্টক করেছে। পরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা বলেন তিনি মারা গেছেন৷  সে সময় পরিস্থিতি না বুঝে শোকে মর্মাহত হয়ে আমার ভাইকে দাফন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এরপর থেকে ফোনকান হাকিমের বাড়ি তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। এতে আমাদের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। আমার ভাইকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে। আমরা ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে গিয়ে একটি মামলা করি। পরে আজ আদালত থেকে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য বলা হয়।
সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) আব্দুল্লাহ বিশ্বাস বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মহদোয়ের উপস্থিততে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।