ঢাকা ১২:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আওয়ামী সরকারের পতনের পরেও- ধরাছোঁয়ার বাইরে জসিম বাহিনী মূল হোতা জসিম সাভারে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত সাভারে ডেভিল হান্ট অভিযানে কুটি মোল্লাসহ গ্রেফতার ১৩ জনগনের সেবক হিসেবে কাজ করে যেতে চাই -ওবায়দুর রহমান অভি সাভারে মাদক বিরোধী “ডে- নাইট শটপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন ১৭ দিনেও পরিচয় মেলেনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকা কিশোরের। সাভারে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করলেন ইউএনও গাইবান্ধায় সাঁওতাল হত্যার আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল। একজন পরিশ্রমী জনবান্ধব ইউপি সচিব আব্দুল হালিম সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত ওয়ার্ড গড়তে চাই: রাশেদুল ইসলাম রাসেল

আশাশুনি বাজারে দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার তদারকি

মোঃ সাগর হোসেনঃ
  • আপডেট সময় : ১১:৫৮:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২৬ বার পড়া হয়েছে
sandhanitv অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে শীতকালীন সবজির দাম কম থাকলেও আশাশুনি সদর বাজারে মূল্য অনেক বেশি হওয়ায় দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার তদারকি করেছেন বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতৃবৃন্দ। শনিবার বিকালে সাপ্তাহিক হাটের দিনে সদর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম হোসেনুজ্জামান হোসেন এর নেতৃত্বে এ তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
গণমাধ্যমের সংবাদ শুনে পেঁয়াজের দাম তো কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনগুণ বাড়িয়েছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। এই সুযোগে শীতকালীন সবজির দামও বাড়িয়েছেন সদর ও বাইরে থেকে আসা ভ্রাম্যমাণ পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা। শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত আশাশুনিতে ৮০-৯০ টাকা বিক্রি হলেও গণমাধ্যমে সংবাদ শুনে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০০ টাকা বৃদ্ধি পায়। শনিবার বিকালে সাপ্তাহিক হাটের দিনে তা আরও ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে নিম্নমানের পেঁয়াজ। কেউ কেউ আবার পেঁয়াজ মজুদ করেছেন। এক পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা বলেন, তিনি ১৩০ টাকা কেজি দরে কিনে ১৭০ টাকা বিক্রি করছেন।
এদিকে শীতকালীন সবজি ফুলকপি বুধবারের হাটে ৩০-৩৫ টাকা দরে বিক্রি হলেও শনিবার হাটে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। ওলকপি ১৫ টাকার স্থলে ২৫ টাকা, নতুন আলু ৫০ এর স্থলে ৬৫, পুরানো আলু ৪৮ এর স্থলে ৫৫ টাকা, বেগুন ৩০ এর জায়গায় ৪৫, সিম ৩০এর জায়গায় ৪০, কাঁচা ঝাল ৮০ টাকার জায়গায় ১২০ টাকা বিক্রি করতে দেখা গেছে। লালশাক, পালংশাক, মুলাশাক, ধনেপাতার দাম বেড়েছে ২ থেকে ৫ টাকা। গত হাটের তুলনায় পেঁয়াজের কালি (৬০) ও টমেটোর (৫০) দাম অপরিবর্তিত আছে। হাটে আসা চাম্পাফুল ও বুধহাটা বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, তাদের বাজারে তুলনামূলক ভাবে শাক-সবজির দাম কেজিতে ৮-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।
সদর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম হোসেনুজ্জামান হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী নির্বাচনে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এসব করছে। এসব বিবেচনা করে আশাশুনি সদর বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে হাট-বাজার তদারকি করা হয়েছে। এসময় আশেপাশের বাজার ছাড়া দরদামের ব্যাপক পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে। সবাইকে প্রাথমিক ভাবে সতর্ক করা হয়েছে। এর পরেও যদি কাজ না হয় তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিন ওজনে কম দেওয়ায় বাজারের স্থায়ী সবজি বিক্রেতা চাম্পাফুল গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের বাটখারা পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন আশাশুনি প্রেসক্লাবের সভাপতি জিএম আল ফারুক, বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক ইয়াহিয়া ইকবাল, যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. নলিনী রঞ্জন মণ্ডল, তুলসী চন্দ্র পাল, আশরাফুল ইসলাম, ডা. কামরুজ্জামান, সদস্য সচিব জাকির হোসেন প্রিন্স, সদস্য মফিজুল ইসলাম লিংকন, জাহিদুল ইসলাম বাবু সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আশাশুনি বাজারে দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার তদারকি

আপডেট সময় : ১১:৫৮:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩

আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে শীতকালীন সবজির দাম কম থাকলেও আশাশুনি সদর বাজারে মূল্য অনেক বেশি হওয়ায় দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার তদারকি করেছেন বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতৃবৃন্দ। শনিবার বিকালে সাপ্তাহিক হাটের দিনে সদর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম হোসেনুজ্জামান হোসেন এর নেতৃত্বে এ তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
গণমাধ্যমের সংবাদ শুনে পেঁয়াজের দাম তো কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনগুণ বাড়িয়েছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। এই সুযোগে শীতকালীন সবজির দামও বাড়িয়েছেন সদর ও বাইরে থেকে আসা ভ্রাম্যমাণ পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা। শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত আশাশুনিতে ৮০-৯০ টাকা বিক্রি হলেও গণমাধ্যমে সংবাদ শুনে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০০ টাকা বৃদ্ধি পায়। শনিবার বিকালে সাপ্তাহিক হাটের দিনে তা আরও ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে নিম্নমানের পেঁয়াজ। কেউ কেউ আবার পেঁয়াজ মজুদ করেছেন। এক পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা বলেন, তিনি ১৩০ টাকা কেজি দরে কিনে ১৭০ টাকা বিক্রি করছেন।
এদিকে শীতকালীন সবজি ফুলকপি বুধবারের হাটে ৩০-৩৫ টাকা দরে বিক্রি হলেও শনিবার হাটে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। ওলকপি ১৫ টাকার স্থলে ২৫ টাকা, নতুন আলু ৫০ এর স্থলে ৬৫, পুরানো আলু ৪৮ এর স্থলে ৫৫ টাকা, বেগুন ৩০ এর জায়গায় ৪৫, সিম ৩০এর জায়গায় ৪০, কাঁচা ঝাল ৮০ টাকার জায়গায় ১২০ টাকা বিক্রি করতে দেখা গেছে। লালশাক, পালংশাক, মুলাশাক, ধনেপাতার দাম বেড়েছে ২ থেকে ৫ টাকা। গত হাটের তুলনায় পেঁয়াজের কালি (৬০) ও টমেটোর (৫০) দাম অপরিবর্তিত আছে। হাটে আসা চাম্পাফুল ও বুধহাটা বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, তাদের বাজারে তুলনামূলক ভাবে শাক-সবজির দাম কেজিতে ৮-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।
সদর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম হোসেনুজ্জামান হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী নির্বাচনে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এসব করছে। এসব বিবেচনা করে আশাশুনি সদর বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে হাট-বাজার তদারকি করা হয়েছে। এসময় আশেপাশের বাজার ছাড়া দরদামের ব্যাপক পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে। সবাইকে প্রাথমিক ভাবে সতর্ক করা হয়েছে। এর পরেও যদি কাজ না হয় তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিন ওজনে কম দেওয়ায় বাজারের স্থায়ী সবজি বিক্রেতা চাম্পাফুল গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের বাটখারা পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন আশাশুনি প্রেসক্লাবের সভাপতি জিএম আল ফারুক, বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক ইয়াহিয়া ইকবাল, যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. নলিনী রঞ্জন মণ্ডল, তুলসী চন্দ্র পাল, আশরাফুল ইসলাম, ডা. কামরুজ্জামান, সদস্য সচিব জাকির হোসেন প্রিন্স, সদস্য মফিজুল ইসলাম লিংকন, জাহিদুল ইসলাম বাবু সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।