শাকির হায়দার, গাইবান্ধা।
গাইবান্ধায় যুবলীগ নেতা ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মন্জুরুল হাসান লিখন(৪০) হত্যার প্রতিবাদে হত্যাকারিদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নি সংযোগ করে বিক্ষুব্ধ জনতা।
বৃহস্পতিবার, ৫ই আগস্ট বিকেল ৬টার দিকে গাইবান্ধা গোরস্থান জামে মসজিদে নিহত লিখনের জানাযা শেষে ফেরার পথে বিক্ষুব্ধ জনতা শহরের হর্কাস মার্কেট এলাকায় অভিযুক্তর ফলের দোকানে ভাংচুর ও রাস্তার মাঝখানে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে।খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা শহরের সাদুল্যাপুর মোড়ে রাস্তায় আগুন জালিয়ে বিক্ষোভের চেষ্টা করলে সদর থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
স্হানীয়সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার ৪ই আগস্ট দুপুরে শহরের পশ্চিম পাড়া নিবাসী সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবার রহমানের পুত্র লিখন হকার্স মার্কেটে ডেভিড কোম্পানি পাড়া নিবাসী শরিফের দোকানে আম কিনতে যায়। এসময় আমের মূল্য নিয়ে শরীফ ও লিখনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করে দেয়।সন্ধ্যায় লিখন জেলা বিএনপি অফিসের পার্শ্বে সুমনের চায়ের দোকানে গেলে সুদারু মামুনের নেতৃত্বে শরীফসহ ৭/৮জন লিখনকে বেদম মারধর ও দেয়াল এর সাথে মাথায় আঘাত করে। এলোপাথাড়ি আঘাতে গুরুতর আহত লিখনকে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। রংপুরে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। তার এই অকাল মৃত্যুতে আওয়ামীলীগ পরিবার ও গাইবান্ধা বাসীর মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে।
এ ব্যাপারে গাইবান্ধা সদর থানায় ৭জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত এজাহারভুক্ত ৪জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।