শরীফ উল হক;
সাভারে ঈদের দিন রাতে গোবিন্দ চন্দ্র সুত্রধর (২০) নামে এক প্রাইভেটকার চালকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপালে পাঠায়। বিষয়টি সড়ক দূর্ঘটনা হিসেবে বলা হলেও গত ১৬ দিনেও মামলা হয়নি। তবে দূর্ঘটনা কবলিত প্রাইভেটকার ও পাঁচটি মোটরসাইকেল ঘটনাস্থলে পড়ে থাকে দীর্ঘ ১৪ দিন।
নিহত গোবিন্দ চন্দ্র সুত্রধরের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের নেত্রকোনায়। সে বাবা-মায়ের সাথে আশুলিয়ার কুমকুমারি এলাকার বাবুল মৃধার বাড়িতে ভাড়া থেকে পার্শ্ববর্তী খাগান এলাকার এ্যাপারেল ভিলেজ লিমিটেড (কাজল গার্মেন্টস) কারখানার এজিএম জাহাঙ্গীর আলম মোহনের গাড়ি চালাতো।
অভিযোগ উঠেছে প্রাইভেটকার চালক গোবিন্দ চন্দ্র সুত্রধর ঈদের রাতে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের আশুলিয়া মডেল টানউনের ভিতরে থেমে থাকা কয়েকটি মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়।
সরেজমিনে দূর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখা যায় একটি পাকা রাস্তার শেষ প্রান্তে মাঠের মধ্যে রাস্তা থেকে অনেক দুরে একটি প্রাইভেটকার ও পাঁচটি মোটরসাইকেল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। স্থানীয়দের বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে অনেকেই বলেন শুনেছি সড়ক দূর্ঘনায় এখানে একটি ছেলে মারা গেছে। কিন্তু বাস্তব চিত্র দেখে কেউই ঘটনাটিকে সড়ক দূর্ঘটনা হিসেবে মানতে নারাজ।
বিষয়টি জানতে গোবিন্দ চন্দ্র সুত্রধরের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। একজন প্রতিবেশীর মাধ্যমে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছে, স্বজনরা দাবি করেন গোবিন্দকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক ন্যায় বিচার চাই।
জানতে চাইলে নিহতের বড় ভাই আনন্দ চন্দ্র সুত্রধর বলেন, ঘটনার পরে আমরা থানায় মামলা দায়ের করতে যাই। কিন্তু পুলিশ বলেছে ময়না তদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মামলা নেয়া যাবেনা।
তবে এরই মাঝে পুলিশ আশুলিয়া মডেল টাউনের নিরাপত্তাকর্মী, মোটরসাইকেল চালকসহ স্থানীয় অনেকেই থানায় ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে
এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিরুলিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুল আলীমের ছেলে মোঃ সোহান বন্ধুদের নিয়ে ঈদের দিন রাতে আশুলিয়া মডেল টাউনের পিছনের দিকে রাস্তায় পাঁচটি মোটরসাইকেল দাড় করে রেখে আড্ডা দিচ্ছিলো। সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় প্রাইভেটকার চালক গোবিন্দ মোটরসাইকেল গুলোকে ধাক্কা দেয়। এঘটনায় প্রাইভেটকার চালক গোবিন্দ মারা গেলেও, মোটরসাইকেল চালকদের কিছুই হয়নি।