শাকির হায়দার…
গাইবান্ধায় সন্ত্রাসীদের হামলায় জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল হাসান লিখন হত্যার বিচারের দাবিতে রবিবার, ৮ই আগস্ট সকাল ১১টায় স্থানীয় পাবলিক লাইব্রেরি হল রুমে লিখনের বন্ধু মহলের উদ্যোগে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব রাজিব।
বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক আলহাজ্ব খান মোঃ সাঈদ হোসেন জসিম, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াজেদ হাসান শাওন, সাদুল্লাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান খাদেমুল ইসলাম খুদি, জাসদ নেতা ও সাংবাদিক সুজন প্রসাদ, ইনডিপেনডেন্ট টিভির প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম বাবু, ৭১টিভির প্রতিনিধি শামীম আল সাম্য ও আর টিভির প্রতিনিধি মোঃ জুয়েল।
বক্তারা মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলেন, জেলায় পরপর চারটি হত্যাকাণ্ডের সর্বশেষ হত্যাকাণ্ডের শিকার লিখন। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সাথে মাদক ও সুদ কারবারিরা জড়িত। তারা এইসব হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত এবং পৃষ্টপোষকতা করেছেন তাদেরকেও বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ও আগামী ১২ই আগস্ট জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদানসহ ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বক্তারা আরও বলেন, বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত বা অন্যখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হলে গাইবান্ধাবাসিকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৪ই আগস্ট বুধবার শহরের পশ্চিমপাড়া নিবাসী লিখন হকার্স মার্কেটের পাশে ফুটপাতের ফল ব্যবসায়ী ডেভিড কোম্পানিপাড়া নিবাসী শরিফের দোকানে আম কিনতে গেলে আমের দরদাম নিয়ে শরীফের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয়রা উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করে দেয়। সন্ধ্যায় লিখন জেলা বিএনপি অফিসের সামনে গেলে চিহ্নিত দাদন ব্যবসায়ী মামুনের নেতৃত্বে শরীফসহ আরও কয়েকজন তাকে নির্মমভাবে বেধড়ক মারপিট ও দেয়ালের সাথে মাথায় আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্হায় লিখনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্য হয়। অনাকাঙ্ক্ষিত এই মৃত্যুতে গাইবান্ধা আওয়ামীলীগ পরিবার ও গাইবান্ধাবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
সম্মেলনে লিখনের বন্ধু মহল ছাড়াও সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।