গোলাম সারওয়ার সজলঃ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৮ই আগস্ট ( বুধবার) বিকেলে আশুলিয়া থানার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চিত্রশাইল এলাকার হাজী ইউনুস আলী কলেজে অত্র এলাকাবাসীর উদ্যোগে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী কফিল উদ্দিন খোন্দকারের সভাপতিত্বে উপস্থিত আছেন সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন খান।
এসময় তিনি বলেন, জাতির জনককে সপরিবারে নির্মম-নিষ্ঠুরভাবে হত্যার ৪৬ বছর। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে রাজধানী ঢাকায় সংঘটিত হয়েছিল ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায়। এদিন স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, বাঙালির মহানায়ককে হত্যা করেছিল ক্ষমতালোভী নরপিশাচ কুচক্রী মহল।পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নীপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মনি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন।
সেসময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
বাংঙ্গালী জাতির মুক্তির অগ্রদূত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর সহ ১৫ই আগস্ট যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।সেই সাথে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া প্রার্থনা এবং তার দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
এসময় আরও উপস্থিত আছেন সাবেক আশুলিয়া থানা যুবলীগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক এবং অত্র থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সুমন আহমেদ ভূঁইয়া সহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
আলোচনা সভা শেষে ১৫ই আগস্ট সহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।