শাকির হায়দার..
গাইবান্ধার বালাসীঘাট থেকে জামালপুরের বাহাদুরাবাদ ঘাট পর্যন্ত ফেরি চলাচলে অনিশ্চয়তা ও ১৪৫ কোটি টাকা অপচয়-লুটপাটের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবিতে নাগরিক মঞ্চ, গাইবান্ধার উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।
অদ্য ২৩শে আগষ্ট, সোমবার বেলা ১১টায় এ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু ( সদস্য সচিব, নাগরিক মঞ্চ, গাইবান্ধা) এর আহবানে এই বিক্ষোভ সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মিহির ঘোষ, গোলাম ফারুক মনা, শামীম আরা মিনা, সবুজ মিয়া, রানু সরকার, ওয়ারেছ সরকার, জুয়েল মিয়া, অঞ্জলি রানী দেবী, জাহাঙ্গীর কবির তনু, রোকেয়া খাতুন, নুর মোহাম্মদ বাবু, আলমগীর কবির বাদল, মোক্তাদির রহমান মিঠু, আব্দুল মতিন আকন্দ, জি এম চৌধুরী মিঠু, নিলুফার ইয়াসমিন, এ্যাড. মোস্তফা মনিরুজ্জামান, মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল, খিলন রবিদাস, জিয়াউল হক জনি, ময়নুল ইসলাম রাজা, মন্জুর আলম মিঠু, জি এম পারভেজ সেলিম, কাজী আবু শফিউল্লা খোকন, এ্যাড. আশরাফ আলী, প্রণব চৌধুরী খোকন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বালাসী ঘাট থেকে বাহাদুরাবাদ ঘাট পর্যন্ত ব্রক্ষপুত্র সেতু নির্মাণের দীর্ঘদিনের দাবি গাইবান্ধাবাসীর। এই দাবিতে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন সমাবেশ হয়েছে। কোন সরকারই এ বিষয়ে কোন উদ্যোগ গ্রহন করেনি। কয়েক বছর পূর্বে সরকারের একজন মন্ত্রী গাইবান্ধায় এসে টানেল নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছিলেন।সেই আশ্বাসেরও কোন অগ্রগতি হয়নি। এর মধ্যে আমরা জানলাম বালাসী-বাহাদুরাবাদ ফেরি সার্ভিস চালু হবে। ইতিমধ্যে ১৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে টার্মিনালসহ অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বিআইডব্লিউটিএ। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য সেই বিআইডব্লিউটিএ তার এক প্রতিবেদনে বলেছে এই পথে ফেরি চলাচল সম্ভব নয়। তারা বলেছে কোন প্রকার সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আরেকটি স্বপ্নভঙ্গ হলো গাইবান্ধাবাসীর।