সাইফুল্লাহ সাইফুল: তিনি ছিলেন চলচ্চিত্রের রোমান্টিক নায়কের এক উজ্জ্বল প্রতিচ্ছবি। অমর নায়ক, হাজারো তরুণীর রাতের ঘুম কেড়ে নেয়া ঘোড়ায়চড়া জাদুকর নায়ক ।এক রাজকুমার। আজ তার মৃত্যুবার্ষিকী ।তিনি আর কেউ নন। তিনি হলেন বাংলা চলচ্চিত্রের রাজপুত্র মহা নায়ক সালমান শাহ। সুদর্শন নায়ক ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি উচ্চতার মুগ্ধকর গঠন। সাবলীল ভাষা, মনোরম দৈহিক গঠন কাঙ্খিত উচ্চারণ, তীব্র আকর্ষণে চোখের চাহনি পাগল করেছে পুরো বাংলাদেশকে । ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আজকের দিনে তিনি চলে যান পরপারে। বলা হয় তাকে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু একটা পক্ষ আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চায় তার এই মৃত্যুকে ।কিন্তু ভক্তরা যে বিশ্বাস করে তাকে হয়তো ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়েছিল । কিন্তু সে হত্যার অথবা সেই মৃত্যুর কূলকিনারা আজও পর্যন্ত সঠিকভাবে হয়নি। সেটাই ভক্তদের মনে আক্ষেপ।
আক্ষেপ প্রিয় নায়ক কে না দেখার। মাত্র তিন বছরের চলচ্চিত্র জীবনে তিনি অভিনয় করেছিলেন ২৭ টি সফল চলচ্চিত্রের। ১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছবিতে তিনি সর্বপ্রথম প্রিয়দর্শিনী চিত্রনায়িকা মৌসুমীর বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন। এই ছবিতে সালমান শাহ, মৌসুমী ,কন্ঠশিল্পী আগুনের একইসাথে অভিষেক ঘটে। বক্স অফিসে সুপার-ডুপার এই ছবিটি তাদেরকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে এনে দেয়।
তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।বাংলার মানুষ, বাংলায় দর্শক, বাংলার আপামর জনতা, বাংলার যুবক-যুবতী প্রিয় নায়ক সালমান শাহকে বুকের মণিকোঠায় স্থান দেয়। তারপর শুরু নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাত্রা । তাকে এদেশের দর্শক-শ্রোতা আজও ভুলতে পারেনি। হয়তো ভুলতে পারবেনা কোনোদিন ।তার সাবলীল উচ্চারণ ,মায়া ভরা চোখ, আর বিশ্বজয়ী স্টাইল তাকে আজও বাঁচিয়ে রেখেছে দর্শকদের মনিকোঠায় । ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি জন্মেছিলেন। নাম ছিল শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন ।পরে চলচ্চিত্রে সে নাম হয় সালমান শাহ। একটি নাম একটি ইতিহাস। বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি । নজরকাড়া নায়িকা শাবনূরের সাথে তার জুটি ছিল চমৎকার। আজ তার মৃত্যু দিনে তাকে স্মরণ করছে বাংলার চলচ্চিত্রপ্রেমী দর্শক ভক্তরা। ভালো থেকো, প্রিয় নায়ক সালমান শাহ ।