স্টাফ রিপোর্টারঃ
সাভার চাঁদাবাজির সংবাদ সংগ্রহকালে দৈনিক যুগান্তরের নিজস্ব প্রতিবেদক মতিউর রহমান ভান্ডারীর উপর হামলার ঘটনায় অবশেষে মামলা নিয়েছে পুলিশ। এঘটনায় আটক সাভার নিউমার্কেটের সিকিউরিটি সুপারভাইজার আব্দুল খালেক মোল্লাকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়। মামলাটি আদালতে উত্থাপন করা হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট খায়রুজ তাসনিম আগামী কাল (মঙ্গলবার) শুনানীর দিন ধার্য করে আব্দুল খালেক মোল্লাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেফতার আব্দুল খালেক আশুলিয়ার কলতাসুটি নয়াবাড়ি এলাকার মৃত শাহাবুদ্দিন মোল্লার ছেলে। তিনি রাজধানীর মিরপুর এলাকার সানফোর্স সিকিউরিটি কোম্পানি লিমিটেডের একজন সদস্য। তিনি সাভারের স্মরণিকা এলাকায় ভাড়া থেকে সাভার নিউমার্কেটে চাকুরী করেন।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক মতিউর রহমান অভিযোগ করেন, আমার উপর হামলার ঘটনার লিখিত অভিযোগপত্র থেকে মার্কেট কর্তৃপক্ষের নাম বাদ দেয়ার উদ্দেশ্যে পুলিশ রবিবার আমাকে ৭/৮ ঘন্টা বসিয়ে রাখার পর রাত সাড়ে এগারটার দিকে মামলাটি রুজু করা হয়। এর আগে দুপুরে সাভার নিউমার্কেটের সামনে চাঁদাবাজির সংবাদ সংগ্রহকালে আমার উপর হামলা চালায় সাভার নিউ মার্কেটের নিরাপত্তা কর্মীরা।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাঈনুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় রাতেই মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে সোমবার দুপুরে সিকিউরিটি সুপারভাইজার আব্দুল খালেককে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালাতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া এঘটনায় জড়িত বাকীদেরকেও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে সাভারে যুগান্তরের সাংবাদিকের ওপর হামলায় উদ্বেগ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে। সোমবার এক বিবৃতিতে বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহ ও মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন বলেন, মহাসড়ক দখল করে অবৈধভাবে দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজির তথ্য সংগ্রহের সময় যুগান্তরের নিজস্ব প্রতিবেদক মতিউর রহমান ভাণ্ডারীর ওপর দুর্বৃত্তরা
হামলা চালিয়েছে। হামলায় মতিউরের বাম কান মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, হামলার পর ভুক্তভোগীকে থানায় ৭ ঘণ্টা বসিয়ে রেখে মামলা না নেয়ার ঘটনা সাংবাদিক সমাজের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে করে দুর্বৃত্তদের সাথে প্রশাসনের যোগসাজশ থাকার সন্দেহ দৃঢ় করেছে। সাংবাদিকদের লেখনী নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে প্রভাবশালীদের যে অপতৎপরতা চলছে সাভারের ঘটনা তারই ধারাবাহিক মাত্র বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া ববৃতিতে অনতিবিলম্বে হামলায় জড়িত এবং তাদের মদদ দানকারীদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করার মাধ্যমে স্বাধীন সাংবাদিকতার সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।