মোঃ ফরহাদ হোসেন আমতলী
বরগুনায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে সাইফুল ইসলাম নামে এক মাদ্রাসার শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামের ভাবী রাশেদা বেগমকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে এ রায় দেন বরগুনা জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃহাফিজুর রহমান। রায়ে দণ্ডিত শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়।
সাইফুল ইসলাম বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুরি ইউনিয়নের সাহেবের হাওলা গ্রামের মাওলানা মোঃ ইব্রাহীম খলিলের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারী দুপুরে গাইড দেওয়ার কথা বলে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে মাদ্রাসায় ডেকে নেন শিক্ষক সাইফুল। পরে মাদরাসার কাছেই নিজ বাড়ির দোতলায় নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এর ফলে ওই ছাত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঘরে রেখেই পালিয়ে যান সাইফুল।
পরে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন তার বাবা। অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাকে।
এ ঘটনার দিন বিকেলে শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে প্রধান অভিযুক্ত করে দুইজনের বিরুদ্ধে বরগুনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন নির্যাতিত ছাত্রীর বাবা। পরে ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে পলাতক শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে র্যব।
এ বিষয়ে আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আমরা এ রায়ে খুশি। এ রায়ের মাধ্যমে ভবিষ্যতে এমন ন্যাক্কারজনক কাজ থেকে বিরত থাকবে খারাপ মানুষগুলো।