রেকর্ড পরিমাণে বাড়ানো হয়েছে জ্বালানির মূল্য। এর আগে একবারে জ্বালানির এমন মূল্যবৃদ্ধি দেখেনি বাংলাদেশ। ডিজেলের দাম বাড়ানো হয়েছে লিটারপ্রতি ৩৪ টাকা, অকটেন ৪৬ টাকা এবং পেট্রল ৪৪ টাকা।
সরকার বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয়, বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা ও তেলপাচার রোধে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না। চলমান অস্থিরতা মোকাবিলায় এই সিদ্ধান্ত সহায়ক হবে বলেও মনে করছেন সরকার সংশ্লিষ্টরা।
অর্থনীতির অস্থিরতা কাটিয়ে উঠতে আসলেই কী এই সিদ্ধান্ত সহায়ক হবে? কী প্রভাব পড়বে বাজার-অর্থনীতির ওপর? সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকায় কী প্রভাব রাখবে? এসব বিষয়ে কথা হয় অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মির্জা আজিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমানের সঙ্গে।
‘সাধারণ মানুষের কষ্ট আরও বেড়ে যাবে’
মির্জা আজিজুল ইসলাম
জ্বালানির এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে প্রথমেই ধাক্কা খাবে পরিবহন সেক্টর। পরিবহন সেক্টরের সঙ্গে সবই সম্পৃক্ত। পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে কয়েকগুণ। দেশের মূল্যস্ফীতি এমনিতেই নাগালের বাইরে। যদিও জুলাই মাসে কিছুটা কমেছে। এর কারণ হচ্ছে কোরবানির মাসে প্রবাসীরা অধিক পরিমাণে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এখন মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যাবে।