আশাশুনি বাজারে দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার তদারকি
- আপডেট সময় : ১১:৫৮:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯৮ বার পড়া হয়েছে
আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে শীতকালীন সবজির দাম কম থাকলেও আশাশুনি সদর বাজারে মূল্য অনেক বেশি হওয়ায় দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার তদারকি করেছেন বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতৃবৃন্দ। শনিবার বিকালে সাপ্তাহিক হাটের দিনে সদর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম হোসেনুজ্জামান হোসেন এর নেতৃত্বে এ তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
গণমাধ্যমের সংবাদ শুনে পেঁয়াজের দাম তো কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনগুণ বাড়িয়েছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। এই সুযোগে শীতকালীন সবজির দামও বাড়িয়েছেন সদর ও বাইরে থেকে আসা ভ্রাম্যমাণ পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা। শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত আশাশুনিতে ৮০-৯০ টাকা বিক্রি হলেও গণমাধ্যমে সংবাদ শুনে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০০ টাকা বৃদ্ধি পায়। শনিবার বিকালে সাপ্তাহিক হাটের দিনে তা আরও ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে নিম্নমানের পেঁয়াজ। কেউ কেউ আবার পেঁয়াজ মজুদ করেছেন। এক পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা বলেন, তিনি ১৩০ টাকা কেজি দরে কিনে ১৭০ টাকা বিক্রি করছেন।
এদিকে শীতকালীন সবজি ফুলকপি বুধবারের হাটে ৩০-৩৫ টাকা দরে বিক্রি হলেও শনিবার হাটে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। ওলকপি ১৫ টাকার স্থলে ২৫ টাকা, নতুন আলু ৫০ এর স্থলে ৬৫, পুরানো আলু ৪৮ এর স্থলে ৫৫ টাকা, বেগুন ৩০ এর জায়গায় ৪৫, সিম ৩০এর জায়গায় ৪০, কাঁচা ঝাল ৮০ টাকার জায়গায় ১২০ টাকা বিক্রি করতে দেখা গেছে। লালশাক, পালংশাক, মুলাশাক, ধনেপাতার দাম বেড়েছে ২ থেকে ৫ টাকা। গত হাটের তুলনায় পেঁয়াজের কালি (৬০) ও টমেটোর (৫০) দাম অপরিবর্তিত আছে। হাটে আসা চাম্পাফুল ও বুধহাটা বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, তাদের বাজারে তুলনামূলক ভাবে শাক-সবজির দাম কেজিতে ৮-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।
সদর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম হোসেনুজ্জামান হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী নির্বাচনে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এসব করছে। এসব বিবেচনা করে আশাশুনি সদর বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে হাট-বাজার তদারকি করা হয়েছে। এসময় আশেপাশের বাজার ছাড়া দরদামের ব্যাপক পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে। সবাইকে প্রাথমিক ভাবে সতর্ক করা হয়েছে। এর পরেও যদি কাজ না হয় তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিন ওজনে কম দেওয়ায় বাজারের স্থায়ী সবজি বিক্রেতা চাম্পাফুল গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের বাটখারা পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন আশাশুনি প্রেসক্লাবের সভাপতি জিএম আল ফারুক, বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক ইয়াহিয়া ইকবাল, যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. নলিনী রঞ্জন মণ্ডল, তুলসী চন্দ্র পাল, আশরাফুল ইসলাম, ডা. কামরুজ্জামান, সদস্য সচিব জাকির হোসেন প্রিন্স, সদস্য মফিজুল ইসলাম লিংকন, জাহিদুল ইসলাম বাবু সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।