ঢাকা ১২:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সাভার পরিদর্শনে এসে আবেগে আপ্লুত দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু’ সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস সাভারে মিস্ত্রি থেকে পীর কাজী জাবের আল জাহাঙ্গীর, জানালেন গ্রামবাসী  সাভার দলিল লেখক কল্যাণ সমিতির নেতৃত্বে আকতার-আফসার-মেহেদী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে আলহাজ্ব কফিল উদ্দিনের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন সাভারের বিভিন্ন পূজা মন্ডব পরিদর্শন করেছেন বিএনপি নেতা খন্দকার শাহ মাইনুল হোসেন বিল্টু শারদীয় দূর্গা পূজার শুভেচ্ছা জানালেন কফিল উদ্দিন সাভারের তেঁতুলঝোড়ায় বিভিন্ন পূজা মন্ডব পরিদর্শন করেছেন হাজী জামাল উদ্দিন সরকার শারদীয় দুর্গাপূজায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি নেতা ওবায়দুর রহমান অভি সাভারে শারদীয় দুর্গোৎসবে বিএনপি নেতাদের পূজা মন্ডপ পরিদর্শন পালপাড়া মন্দির পরিদর্শন করলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সায়েমুল হুদা

দুর্নীতি, সরকারী প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ ও অনিয়মের মধ্যদিয়ে টাকা পাহাড় গড়ে তুলেছেন দিনাজপুর জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ মোর্শেদ আলী খান

দিনাজপুর প্রতিনিধি ॥
  • আপডেট সময় : ১০:৪৮:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪ ১০ বার পড়া হয়েছে
sandhanitv অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এক সময়ের দাপটের ছাত্রলীগ নেতা মোর্শেদ আলী খান। ছাত্রলীগ কোঠায় বাগিয়ে নিয়েছিলেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার পদ। গত ০৫ মার্চ ২০১৯ তারিখে দিনাজপুরে যোগদানের পর একক দাপট দেখিয়ে সরকারী প্রকল্প লুটপাট করে কোটি কোটি টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছেন। মহিলাদের উন্নয়ন মুলক প্রকল্প হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। নামমাত্র মহিলাদের উন্নয়নে কাজ করা হলেও বেশির ভাগ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন মোর্শেদ আলী খান। এমন একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

আওয়ামী সরকারের সাবেক হুইপ ও দিনাজপুর -৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিমের আস্থাভাজন ছিলেন এই দিনাজপুর জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মোঃ মোর্শেদ আলী খান। দিনাজপুর মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মোঃ মোর্শেদ আলী খান-এর এসব সীমাহীন দুর্নীতি, অনিয়ম, টাকা আত্মসাৎ ও স্বজনপ্রীতি দেখার যেন কেউ নেই?
সরেজমিনে দিনাজপুর জেলা পৌরসভাধীন এলাকায় ঘাসিপাড়াস্থ ভাড়া নেওয়া সেই অফিসে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি বিধি মোতাবেক অফিস সকাল ৯টায় উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি নিয়মিতভাবে নীলফামারী (নিজবাড়ী) হতে অফিসে আসেন বেলা ১১-১২টার মধ্যে। সরকারি বিধি মোতাবেক বাড়ীভাড়া ভাতা পাওয়ার পরেও তিনি নিয়মিত যাতায়াত করেন।
এছাড়া সরকারি মালামাল বিশেষ করে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আইজিএ প্রজেক্ট এর ৩টি এসিসহ মোট ৪টি এসি দিনাজপুর জেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ে সংরক্ষিত থাকার কথা থাকলেও ৩টি এসি তিনি তা গোপনে সরিয়ে ফেলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন প্রশিক্ষণার্থীদের বিনামূল্যে ফরম দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি ফরম দিয়ে প্রতি জনের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে নেন। দিনাজপুর জেলায় ১১২ টি কিশোর-কিশোরী ক্লাব রয়েছে। সেই কিশোর কিশোরী প্রতিটি ক্লাবে ৩০জন করে সদস্য রয়েছে। প্রতিজন সদস্যদের নাস্তা বাবদ ৩০টাকা বরাদ্দ আছে। প্রতিমাসে ১ লক্ষ ৮ শত টাকার নাস্তা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি জনপ্রতি মাত্র ১২ থেকে ১৩ টাকার নাস্তা দিয়ে বাকী নিজের পকেটস্থ করছেন। এতে করে প্রতিমাসে ৪০ হাজারের অধিক টাকা নিজের আত্মসাৎ করছে।
ভিজিডি কার্ড এবং মাতৃত্বকালীন ভাতা সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি উৎকোচের বিনিময়ে অফিসে বসেই যোগ্যদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের সরকারি ভাতা পেতে সুপারিশ করেন এমন অভিযোগও রয়েছে। এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে অনলাইনের মাধ্যমে নতুন সমিতির নিবন্ধন করার নীতিমালা থাকলেও তিনি উৎকোচের বিনিময়ে অফিসে বসেই নিবন্ধন দেন। সমিতির নামে সরকারি অনুদান পাইয়ে দিতে উৎকোচ নেন এবং চেক বিতরণের সময়েও তাকে দিতে হয় চাহিদা মত উৎকোচ।
বিভিন্ন প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষনার্থী অনুপস্থিত থাকলেও তাদের হাজিরার ভুয়া নাম দেখিয়ে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া দুঃস্থ মহিলাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ৫ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করা হলেও উক্ত টাকা আদায়ের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় বিপুল পরিমাণ টাকা অনাদায়ি রয়েছে। ফলে ঘূর্নায়মান এই তহবিল থেকে অর্থ অভাবে নতুন কোন ঋণ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এতে সরকারি এই সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দুঃস্থ নারীরা। শুধু তাই নয়, ভাড়া অফিস হওয়ার কারণে গত ৪ বছরে অফিস মেরামতের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থ পুরোটাই আত্মসাৎ করেছেন।

উপপরিচালকের কার্যালয়, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, দিনাজপুর এর আওতাধীন শহরের বালুয়াডাঙ্গাস্থ ডে-কেয়ার সেন্টার এর মাধ্যমে জন প্রতি ৮০.৫৫ টাকা করে দিবাযতœ সেবা প্রদান করার জন্য ৮০ জন শিশু সুযোগ পাওয়ার কথা। যাতে করে প্রতিদিন ৬ হাজার ৬৪৪ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। প্রতিদিন ৮০জন শিশুকে ডে-কেয়ারের মাধ্যমে দিবাযতœ সেবা প্রদান করা হচ্ছে এই মর্মে প্রতিদিন ৬ হাজার ৬৪৪ টাকা বরাদ্দ উত্তোনো করা হচ্ছে। কিন্তু সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, ১৫-২০ জন শিশু ডে-কেয়ারের উপস্থিত রয়েছে। শিশুদের প্রতিদিনের হাজিরা খাতা দেখা যায় পরিদর্শনের পূর্বের ৮দিনের শিশুদের হাজিরা নেই। ডে-কেয়ার সেন্টার এর শিক্ষিকা মোছাঃ জেসমিন আক্তার এর কাছে শিশুদের হাজিরা সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন হাজিরা দিতে ভূলে গেছি। নাম না প্রকাশের শর্তে এক ব্যক্তি জানান, যেহেতু কেউ এসব বিষয় দেখতে আসে না সেহেতু ইচ্ছেমত হাজিরা শতভাগ নিশ্চিতসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ বিষয়ে ডে-কেয়ার অফিসার রেজভীন সারমিনাজ ইসলাম এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায় নি। শুধু মাত্র শিশুদের ভূয়া উপস্থিতির মাধ্যমেই উপ-পরিচালক মোঃ মোর্শেদ আলী খান ও ডে-কেয়ার অফিসার রেজভীন সারমিনাজ ইসলাম যৌথভাবে বছরে প্রায় ৮ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করেন।

উপ-পরিচালক মোঃ মোর্শেদ আলী খান- এর কাছে তার বিরুদ্ধে সুনিদিষ্ট অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন ফরম বাবদ ৫০ টাকা করে দেওয়া হয়। এছাড়া ডে-কেয়ার কর্মজীবী মায়ের বাচ্চাদের জন্য সরকারী ভাবে একটা বরাদ্দ আছে। তবে সরকারী টাকার ভ্যাট-ট্যাক্স কেটে নেওয়া হয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি অন্য খোশ গল্প করে প্রতিবেদককে ব্যস্ত রাখার চেষ্ঠা করেন।
প্রশাসনের নিকট দুর্নীতিবাজ দিনাজপুর মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ মোর্শেদ আলী খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি মধ্যদিয়ে একজন অভিজ্ঞ ও সৎ উপ-পরিচালককে দ্রুত পদায়ন করে অত্র দপ্তরের দাপ্তরিক সেবা নিশ্চিতকরণে সংশ্লিষ্ট মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী ও সচেতন মহল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

দুর্নীতি, সরকারী প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ ও অনিয়মের মধ্যদিয়ে টাকা পাহাড় গড়ে তুলেছেন দিনাজপুর জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ মোর্শেদ আলী খান

আপডেট সময় : ১০:৪৮:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪

এক সময়ের দাপটের ছাত্রলীগ নেতা মোর্শেদ আলী খান। ছাত্রলীগ কোঠায় বাগিয়ে নিয়েছিলেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার পদ। গত ০৫ মার্চ ২০১৯ তারিখে দিনাজপুরে যোগদানের পর একক দাপট দেখিয়ে সরকারী প্রকল্প লুটপাট করে কোটি কোটি টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছেন। মহিলাদের উন্নয়ন মুলক প্রকল্প হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। নামমাত্র মহিলাদের উন্নয়নে কাজ করা হলেও বেশির ভাগ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন মোর্শেদ আলী খান। এমন একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

আওয়ামী সরকারের সাবেক হুইপ ও দিনাজপুর -৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিমের আস্থাভাজন ছিলেন এই দিনাজপুর জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মোঃ মোর্শেদ আলী খান। দিনাজপুর মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মোঃ মোর্শেদ আলী খান-এর এসব সীমাহীন দুর্নীতি, অনিয়ম, টাকা আত্মসাৎ ও স্বজনপ্রীতি দেখার যেন কেউ নেই?
সরেজমিনে দিনাজপুর জেলা পৌরসভাধীন এলাকায় ঘাসিপাড়াস্থ ভাড়া নেওয়া সেই অফিসে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি বিধি মোতাবেক অফিস সকাল ৯টায় উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি নিয়মিতভাবে নীলফামারী (নিজবাড়ী) হতে অফিসে আসেন বেলা ১১-১২টার মধ্যে। সরকারি বিধি মোতাবেক বাড়ীভাড়া ভাতা পাওয়ার পরেও তিনি নিয়মিত যাতায়াত করেন।
এছাড়া সরকারি মালামাল বিশেষ করে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আইজিএ প্রজেক্ট এর ৩টি এসিসহ মোট ৪টি এসি দিনাজপুর জেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ে সংরক্ষিত থাকার কথা থাকলেও ৩টি এসি তিনি তা গোপনে সরিয়ে ফেলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন প্রশিক্ষণার্থীদের বিনামূল্যে ফরম দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি ফরম দিয়ে প্রতি জনের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে নেন। দিনাজপুর জেলায় ১১২ টি কিশোর-কিশোরী ক্লাব রয়েছে। সেই কিশোর কিশোরী প্রতিটি ক্লাবে ৩০জন করে সদস্য রয়েছে। প্রতিজন সদস্যদের নাস্তা বাবদ ৩০টাকা বরাদ্দ আছে। প্রতিমাসে ১ লক্ষ ৮ শত টাকার নাস্তা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি জনপ্রতি মাত্র ১২ থেকে ১৩ টাকার নাস্তা দিয়ে বাকী নিজের পকেটস্থ করছেন। এতে করে প্রতিমাসে ৪০ হাজারের অধিক টাকা নিজের আত্মসাৎ করছে।
ভিজিডি কার্ড এবং মাতৃত্বকালীন ভাতা সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি উৎকোচের বিনিময়ে অফিসে বসেই যোগ্যদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের সরকারি ভাতা পেতে সুপারিশ করেন এমন অভিযোগও রয়েছে। এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে অনলাইনের মাধ্যমে নতুন সমিতির নিবন্ধন করার নীতিমালা থাকলেও তিনি উৎকোচের বিনিময়ে অফিসে বসেই নিবন্ধন দেন। সমিতির নামে সরকারি অনুদান পাইয়ে দিতে উৎকোচ নেন এবং চেক বিতরণের সময়েও তাকে দিতে হয় চাহিদা মত উৎকোচ।
বিভিন্ন প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষনার্থী অনুপস্থিত থাকলেও তাদের হাজিরার ভুয়া নাম দেখিয়ে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া দুঃস্থ মহিলাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ৫ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করা হলেও উক্ত টাকা আদায়ের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় বিপুল পরিমাণ টাকা অনাদায়ি রয়েছে। ফলে ঘূর্নায়মান এই তহবিল থেকে অর্থ অভাবে নতুন কোন ঋণ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এতে সরকারি এই সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দুঃস্থ নারীরা। শুধু তাই নয়, ভাড়া অফিস হওয়ার কারণে গত ৪ বছরে অফিস মেরামতের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থ পুরোটাই আত্মসাৎ করেছেন।

উপপরিচালকের কার্যালয়, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, দিনাজপুর এর আওতাধীন শহরের বালুয়াডাঙ্গাস্থ ডে-কেয়ার সেন্টার এর মাধ্যমে জন প্রতি ৮০.৫৫ টাকা করে দিবাযতœ সেবা প্রদান করার জন্য ৮০ জন শিশু সুযোগ পাওয়ার কথা। যাতে করে প্রতিদিন ৬ হাজার ৬৪৪ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। প্রতিদিন ৮০জন শিশুকে ডে-কেয়ারের মাধ্যমে দিবাযতœ সেবা প্রদান করা হচ্ছে এই মর্মে প্রতিদিন ৬ হাজার ৬৪৪ টাকা বরাদ্দ উত্তোনো করা হচ্ছে। কিন্তু সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, ১৫-২০ জন শিশু ডে-কেয়ারের উপস্থিত রয়েছে। শিশুদের প্রতিদিনের হাজিরা খাতা দেখা যায় পরিদর্শনের পূর্বের ৮দিনের শিশুদের হাজিরা নেই। ডে-কেয়ার সেন্টার এর শিক্ষিকা মোছাঃ জেসমিন আক্তার এর কাছে শিশুদের হাজিরা সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন হাজিরা দিতে ভূলে গেছি। নাম না প্রকাশের শর্তে এক ব্যক্তি জানান, যেহেতু কেউ এসব বিষয় দেখতে আসে না সেহেতু ইচ্ছেমত হাজিরা শতভাগ নিশ্চিতসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ বিষয়ে ডে-কেয়ার অফিসার রেজভীন সারমিনাজ ইসলাম এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায় নি। শুধু মাত্র শিশুদের ভূয়া উপস্থিতির মাধ্যমেই উপ-পরিচালক মোঃ মোর্শেদ আলী খান ও ডে-কেয়ার অফিসার রেজভীন সারমিনাজ ইসলাম যৌথভাবে বছরে প্রায় ৮ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করেন।

উপ-পরিচালক মোঃ মোর্শেদ আলী খান- এর কাছে তার বিরুদ্ধে সুনিদিষ্ট অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন ফরম বাবদ ৫০ টাকা করে দেওয়া হয়। এছাড়া ডে-কেয়ার কর্মজীবী মায়ের বাচ্চাদের জন্য সরকারী ভাবে একটা বরাদ্দ আছে। তবে সরকারী টাকার ভ্যাট-ট্যাক্স কেটে নেওয়া হয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি অন্য খোশ গল্প করে প্রতিবেদককে ব্যস্ত রাখার চেষ্ঠা করেন।
প্রশাসনের নিকট দুর্নীতিবাজ দিনাজপুর মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ মোর্শেদ আলী খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি মধ্যদিয়ে একজন অভিজ্ঞ ও সৎ উপ-পরিচালককে দ্রুত পদায়ন করে অত্র দপ্তরের দাপ্তরিক সেবা নিশ্চিতকরণে সংশ্লিষ্ট মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী ও সচেতন মহল।