ঢাকা ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাভারের শীর্ষ সন্ত্রাসী রাজীবের সহচর ‘জাকির মামা ওরফে সমকামী জাকির’গ্রেফতার র‍্যাব ১৩ এর একটি আভিযানিক দলের হাতে ২০০ বোতল ফেন্সিডিল সহ আলম মিয়া নামে এক ব্যক্তি আটক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সাভার পরিদর্শনে এসে আবেগে আপ্লুত দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু’ সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস সাভারে মিস্ত্রি থেকে পীর কাজী জাবের আল জাহাঙ্গীর, জানালেন গ্রামবাসী  সাভার দলিল লেখক কল্যাণ সমিতির নেতৃত্বে আকতার-আফসার-মেহেদী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে আলহাজ্ব কফিল উদ্দিনের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন সাভারের বিভিন্ন পূজা মন্ডব পরিদর্শন করেছেন বিএনপি নেতা খন্দকার শাহ মাইনুল হোসেন বিল্টু শারদীয় দূর্গা পূজার শুভেচ্ছা জানালেন কফিল উদ্দিন সাভারের তেঁতুলঝোড়ায় বিভিন্ন পূজা মন্ডব পরিদর্শন করেছেন হাজী জামাল উদ্দিন সরকার শারদীয় দুর্গাপূজায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি নেতা ওবায়দুর রহমান অভি

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রথম পরাজয় প্রধানমন্ত্রী সুনাকের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:২৬:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১৪ বার পড়া হয়েছে
sandhanitv অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রথম পরাজয় প্রধানমন্ত্রী সুনাকের
সংক্রমিত রক্ত বিষয়ক কেলেঙ্কারি ইস্যুতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রথমবারের মতো পরাজিত হলেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। ১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে এবং ১৯৮০-এর দশকের শুরুর দিকে প্রায় ৪৮০০ মানুষের রক্তে জমাট বাঁধার সমস্যা দেখা দেয়।

তদন্তে জানা গেছে, ওই সব মানুষকে রক্তদাতারা এইডস সৃষ্টিকারী এইচআইভি অথবা হেপাটাইটিস সি ভাইরাসে সংক্রমিত ছিলেন। ফলে ওই ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভোট হয়। এতে নিজ দল কনজার্ভেটিভের কিছু এমপি বিদ্রোহ করে ঋষি সুনাকের বিপক্ষে ভোট দেন।

ভিকটিম অ্যান্ড প্রিজনার্স বিলের একটি সংশোধনীর ওপর ছিল এই ভোট। পক্ষে ভোট দেন ২৪৬ জন এমপি। বিপক্ষে ভোট দেন ২৪২ জন। বিলটি এখন আইনে পরিণত হওয়ার তিন মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ প্রদানকারী একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে সরকারকে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন গার্ডিয়ান।

এর ফলে তা পাশ হয়। এ কারণে এটা হলো ঋষি সুনাকের প্রধানমন্ত্রিত্বে পার্লামেন্টে প্রথম পরাজয়। সংক্রমিত রক্ত দেওয়া বা কিনে নেওয়ার ওই ঘটনা এখনো তদন্তাধীন।

এর আগে সরকার বলেছিল, ক্ষতিপূরণ দেওয়া একটি নৈতিক বিষয়। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। তবে তদন্তের ফল আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তদন্তে সভাপতিত্ব করছেন স্যার ব্রায়ান ল্যাংস্টাফ। গত মাসে ফাইনাল তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করার কথা ছিল; কিন্তু এখন মনে হচ্ছে তা প্রকাশ হবে মার্চে। সংক্রমিত রক্ত দেওয়ার ওই স্ক্যান্ডালে ক্ষতিগ্রস্তদের অর্ধেকই এর মধ্যে মারা গেছেন।

এ বিষয়ে যারা ক্যাম্পেইন করছেন, তারা বলছেন এখনই উত্তম সময়। অন্যদের সঙ্গে বিলটিতে সংশোধনীর পক্ষে ভোট দিয়েছেন নারী এবং সমতা বিষয়ক সিলেক্ট কমিটির চেয়ার ক্যারোলাইন নোকস এবং সাবেক আইনমন্ত্রী স্যার রবার্ট বাকল্যান্ড। ভোটের ফল ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে ব্রিটিশ হাউস অব কমন্সে উল্লাস দেখা দেয়। বিলটিতে সংশোধনী এনেছিলেন লেবার দলের এমপি ডেম ডায়ানা জনসন।

তিনি বলেছেন, এটা হলো সামনে এগিয়ে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ এক পদক্ষেপ। ভোটের আগে ব্রিটিশ আইনমন্ত্রী এডওয়ার্ড আরগার বলেন, রক্ত নিয়ে ওই কেলেঙ্কারি হওয়া উচিত ছিল না। বিলের সংশোধনীর প্রতি সরকারের বড় রকমের সহানুভূতি আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রথম পরাজয় প্রধানমন্ত্রী সুনাকের

আপডেট সময় : ০৭:২৬:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রথম পরাজয় প্রধানমন্ত্রী সুনাকের
সংক্রমিত রক্ত বিষয়ক কেলেঙ্কারি ইস্যুতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রথমবারের মতো পরাজিত হলেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। ১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে এবং ১৯৮০-এর দশকের শুরুর দিকে প্রায় ৪৮০০ মানুষের রক্তে জমাট বাঁধার সমস্যা দেখা দেয়।

তদন্তে জানা গেছে, ওই সব মানুষকে রক্তদাতারা এইডস সৃষ্টিকারী এইচআইভি অথবা হেপাটাইটিস সি ভাইরাসে সংক্রমিত ছিলেন। ফলে ওই ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভোট হয়। এতে নিজ দল কনজার্ভেটিভের কিছু এমপি বিদ্রোহ করে ঋষি সুনাকের বিপক্ষে ভোট দেন।

ভিকটিম অ্যান্ড প্রিজনার্স বিলের একটি সংশোধনীর ওপর ছিল এই ভোট। পক্ষে ভোট দেন ২৪৬ জন এমপি। বিপক্ষে ভোট দেন ২৪২ জন। বিলটি এখন আইনে পরিণত হওয়ার তিন মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ প্রদানকারী একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে সরকারকে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন গার্ডিয়ান।

এর ফলে তা পাশ হয়। এ কারণে এটা হলো ঋষি সুনাকের প্রধানমন্ত্রিত্বে পার্লামেন্টে প্রথম পরাজয়। সংক্রমিত রক্ত দেওয়া বা কিনে নেওয়ার ওই ঘটনা এখনো তদন্তাধীন।

এর আগে সরকার বলেছিল, ক্ষতিপূরণ দেওয়া একটি নৈতিক বিষয়। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। তবে তদন্তের ফল আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তদন্তে সভাপতিত্ব করছেন স্যার ব্রায়ান ল্যাংস্টাফ। গত মাসে ফাইনাল তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করার কথা ছিল; কিন্তু এখন মনে হচ্ছে তা প্রকাশ হবে মার্চে। সংক্রমিত রক্ত দেওয়ার ওই স্ক্যান্ডালে ক্ষতিগ্রস্তদের অর্ধেকই এর মধ্যে মারা গেছেন।

এ বিষয়ে যারা ক্যাম্পেইন করছেন, তারা বলছেন এখনই উত্তম সময়। অন্যদের সঙ্গে বিলটিতে সংশোধনীর পক্ষে ভোট দিয়েছেন নারী এবং সমতা বিষয়ক সিলেক্ট কমিটির চেয়ার ক্যারোলাইন নোকস এবং সাবেক আইনমন্ত্রী স্যার রবার্ট বাকল্যান্ড। ভোটের ফল ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে ব্রিটিশ হাউস অব কমন্সে উল্লাস দেখা দেয়। বিলটিতে সংশোধনী এনেছিলেন লেবার দলের এমপি ডেম ডায়ানা জনসন।

তিনি বলেছেন, এটা হলো সামনে এগিয়ে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ এক পদক্ষেপ। ভোটের আগে ব্রিটিশ আইনমন্ত্রী এডওয়ার্ড আরগার বলেন, রক্ত নিয়ে ওই কেলেঙ্কারি হওয়া উচিত ছিল না। বিলের সংশোধনীর প্রতি সরকারের বড় রকমের সহানুভূতি আছে।