সাভারে নির্বাচনের হালচাল
- আপডেট সময় : ০৮:২৫:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০৭ বার পড়া হয়েছে
আসছে আগামী ৭ই জানুয়ারি ২০২৪ শে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাকা ১৯ আসনে (সাভার -আশুলিয়া) তে চলছে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা। এ আসনে একাধিক প্রার্থী রয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ যিনি ঈগল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন, এবং বর্তমান সংসদ সদস্য দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার এনামুর রহমান এমপি, যিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন, এই দুজনের মধ্যে মূল প্রতিযোগিতা হতে পারে। সাভার ও আশুলিয়া নিয়ে গঠিত এ আসনটিতে দুটি ইপিজেড রয়েছে, ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় এক হাজারের অধিক গার্মেন্টস রয়েছে, গার্মেন্টস শ্রমিকদের অধিকাংশই এ আসনের ভোটার। ঢাকা ১৯ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ৯ লক্ষের কাছাকাছি, শ্রমিক ভোটারদের কথা মাথায় রেখে প্রত্যেক প্রার্থী তার নিজ নিজ প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি। মূল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের হওয়াতে স্থানীয় নেতাকর্মীরা পড়েছে দোটানায়, কেউ কেউ কাজ করছে নৌকার প্রতীক দেখে আবার কেউ কেউ কাজ করছে ব্যক্তি দেখে। এবারের নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছেন নেতাকর্মীরা। সাভার ও আশুলিয়াতে এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিস্থিতি খুবই শান্ত, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দক্ষতার সাথে পর্যালনা করছেন, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিত হয়ে নিরাপদে ভোট দেওয়া জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বিগত দুই ট্রাম ১৪ নির্বাচন ও ১৮ নির্বাচনে এমন উৎসব মুখর পরিবেশ দেখেনি সাভার ও আশুলিয়া বাসী, তাই এবারে নির্বাচনে ভোটারদের মুখে মুখে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে, সাধারণ ভোটারদের মুখের কথা আর যাই হোক এবার ভোট উৎসবমুখর হবে এবং নিরাপদে ভোট দেওয়া যাবে বলে ভোটারদের আস্থা রয়েছে। ঢাকা ১৯ আসলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত ডাক্তার এনামুর রহমান এমপির জন্য এবারে নির্বাচন খুবই চ্যালেঞ্জ মুখর হতে পারে বিগত দুই ট্রামে এতটা কষ্ট করতে হয়নি। এবার যেহেতু নিজেদের মধ্যে লড়াই হচ্ছে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ৭ তারিখ পর্যন্ত নির্বাচনের ফলাফল পাওয়ার আগ পর্যন্ত। অন্যদিকে দীর্ঘ দশ বছর পর রাজনীতির মাঠে নেতাকর্মীদের কাছে পেয়ে খুবই আনন্দিত সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ, তবে চ্যালেঞ্জ যেমনই হোক দুই পক্ষই নির্বাচনে জয়ী হবে বলে আশাবাদী, অপেক্ষা করতে হবে ৭ই জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনের ফলাফলের জন্য।